প্রতিষ্ঠান কর্তৃক গৃহীত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাগুলো নিম্নরূপঃ
১. শিক্ষার মান উন্নয়ন:
-
প্রযুক্তি-ভিত্তিক শিক্ষার প্রসার:
- টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন অটোমেশন, স্মার্ট টেক্সটাইল, এবং ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অন্তর্ভুক্ত করা।
- ভিআর (Virtual Reality) এবং এআর (Augmented Reality)-ভিত্তিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা, যাতে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবনের শিল্প পরিস্থিতির সাথে পরিচিত হতে পারে।
-
কোর্স কারিকুলাম আধুনিকায়ন:
- শিল্পের চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে কারিকুলাম নিয়মিত আপডেট করা।
- বাস্তব অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার জন্য ইন্ডাস্ট্রি প্রজেক্ট এবং ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক করা।
-
গবেষণা ও উদ্ভাবন:
- শিক্ষার্থীদের গবেষণামূলক কাজের প্রতি উৎসাহিত করতে একটি বিশেষ রিসার্চ ও ইনোভেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা।
- পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়া এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য টেক্সটাইল পণ্য নিয়ে গবেষণার উদ্যোগ নেওয়া।
২. শিক্ষকের দক্ষতা বৃদ্ধি:
- ফ্যাকাল্টি ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম:
- শিক্ষকদের জন্য দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণ আয়োজন।
- জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান।
- নতুন প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনী শিক্ষাদান পদ্ধতির ওপর কর্মশালা আয়োজন।
৩. শিল্পের সঙ্গে মেলবন্ধন তৈরি:
-
ইন্ডাস্ট্রি-অ্যাকাডেমিয়া পার্টনারশিপ:
- টেক্সটাইল শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করা।
- শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মাসিক লেকচার সিরিজ চালু করা।
- শিক্ষার্থীদের ইন্টার্নশিপ ও সরাসরি নিয়োগে শিল্প প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিশ্চিত করা।
-
উন্নতমানের পণ্য প্রদর্শনী:
- শিক্ষার্থীদের তৈরি প্রকল্প ও পণ্য প্রদর্শনের জন্য বার্ষিক "টেক্সটাইল ইনোভেশন ফেয়ার" আয়োজন।
৪. টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশ সচেতনতা:
-
পরিবেশবান্ধব প্রকল্প:
- রিসাইক্লিং, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, এবং সবুজ উৎপাদন প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।
- টেকসই ফ্যাশন নিয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতনতা বৃদ্ধি।
-
উদ্ভাবনী প্রকল্প:
- পুনর্ব্যবহৃত পণ্য দিয়ে নতুন ধরনের টেক্সটাইল সামগ্রী তৈরি করার প্রশিক্ষণ।
- SDG-এর লক্ষ্য পূরণের জন্য সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ।
৫. আন্তর্জাতিকীকরণ:
-
বিশ্বমানের শিক্ষা নিশ্চিত করা:
- আন্তর্জাতিক ডিগ্রি বা সার্টিফিকেট প্রোগ্রামের সাথে অংশীদারিত্ব।
- বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক বিনিময় প্রোগ্রাম চালু।
-
গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন:
- আন্তর্জাতিক টেক্সটাইল সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের প্রকল্প উপস্থাপন।
- বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পরিচিতি বৃদ্ধি।
৬. ক্যাম্পাস উন্নয়ন:
-
পরিকল্পিত অবকাঠামো উন্নয়ন:
- আধুনিক ল্যাবরেটরি ও লাইব্রেরি স্থাপন।
- ডিজিটাল ক্লাসরুম এবং অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম চালু।
-
ছাত্রকল্যাণ কার্যক্রম:
- স্কলারশিপ প্রোগ্রাম চালু।
- শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্য ও ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং-এর জন্য বিশেষ সাপোর্ট সেন্টার গঠন।
৭. কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি:
-
প্লেসমেন্ট সেল:
- একটি সক্রিয় প্লেসমেন্ট সেল গঠন, যা শিক্ষার্থীদের চাকরির প্রস্তুতি এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযোগ তৈরিতে সহায়তা করবে।
- ক্যাম্পাস রিক্রুটমেন্ট প্রোগ্রাম চালু।
-
উদ্যোক্তা উন্নয়ন:
- শিক্ষার্থীদের উদ্যোক্তা হতে উৎসাহিত করার জন্য বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ।
- স্টার্টআপ সহায়তা এবং বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা।
এই পরিকল্পনাগুলো দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন এবং শিক্ষার্থীদের পেশাগত উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারে।